দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,ঝালকাঠি
নির্মাণাধীন হাফেজী মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং থেকে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে। ঝালকাঠি শহরের ৬নং বাসন্ডা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের যুগ্মআহŸায়ক কামাল শরীফ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত নির্মাধীন মাদ্রাসার যাবতীয় ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ ও দাবি জানান মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা মো. নুরুল আমীন। এসময় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আ. হামিদ খানসহ শুভাকাঙ্খী উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল আমীন লিখিত বক্তব্যে জানান, ঝালকাঠি শহর তলীর ৬নং বাসন্ডা ওয়ার্ডের যুব উন্নয়ন সংলগ্ন পূর্ব পাশে ২০১৩ সালে ১০শতাংশ জমি কিনে ভরাট করে এবং টিউবয়েল স্থাপন করে বসবাসের উপযোগী করে ভাড়া দেয়া হয়েছিলো। ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে তিনতলা ফাউন্ডেশন নিয়ে হাফিজী মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং চালু করার জন্য ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।
কাজ শুরু করতেই কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল শরীফ আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাতে কর্ণপাত না করেই ১৬টি বেইজ ঢালাই সম্পন্ন করে ৩টি শর্টকলম ঢালাইয়ের শেষ মুহুর্তে কামাল শরীফের লোক মাহবুবের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসহ ৮/১০জন লোক গিয়ে ঢালাইয়েরে কাজ বন্ধ করে দেয়। কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা নুরুজ্জামানকে বাহিনীর লোকজন মারধর করে একলাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
২০২৪ সালের ২৬এপ্রিল পুনরায় কাজ শুরু করলে কামাল শরীফের নেতৃত্বে মাহবুবসহ অন্যান্য ক্যাডাররা তিনলক্ষাধিক টাকা মূল্যের সিসি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ, ইলেক্ট্রিক তাঁর, পানির মটোর, তিন বান টিন, দুই টন রড লুট করে নিয়ে যায়। ক্ষমতার অবৈধ প্রভাবের কারণে তাতে কেউ বাধা দিতে সাহস পায়নি। কুয়েতে প্রবাস থাকায় প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে গত ১৭ ফেব্রæয়ারী দেশে প্রত্যাবর্তন করে স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাফিজী মাদ্রাসা, লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানার উপর হামলাকারীদে দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসা পুননির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান কুয়েত প্রবাসী নুরুল আমীন।