জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা, বিনামূল্যে মোবাইল, ব্যাগ, মানিব্যাগ গচ্ছিত রাখাসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কাজ করছে সিলেট বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সংস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে সংস্থার সকলের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে হেল্পডেস্ক টেন্ট, যেখান থেকে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন পুরোটা সময় জুড়ে (৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি) বৃহত্তর সিলেট থেকে আগত জাবি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সহায়তা ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
জাবির প্রধান ফটক থেকে অমর একুশ অব্দি প্রায় অর্ধশতাধিক জেলা সমিতির তথ্য কেন্দ্র রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো, যাতায়াতে সহায়তা ও তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করছে সমিতিগুলো। সিলেট বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সংস্থা প্রতিবারের ন্যায় এবারও তথ্য সহয়তা কেন্দ্র স্থাপন করেছে, যেখান থেকে ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে অবগত করার পাশাপাশি তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র জমা রাখা, অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা, বিনামূল্যে জলসেবা দান এবং কিছু শিক্ষার্থীর সাময়িক আবাসনসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সিলেট থেকে আগত জাবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থী আবির বলেন, সিলেট থেকে জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসবো যেহেতু আমার পরীক্ষার সময় সকাল ১০টায় তাই আমার আগের দিন রাতেই আসা প্রয়োজন ছিলো, রাত্রে থাকা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম পরে সিলেট বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সংস্থার সাথে যোগাযোগ করলে সংস্থার ভাইদের মাধ্যমে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা হয় এবং উনাদের মাধ্যমে নানাবিধ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাই।
এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সংস্থার সভাপতি পিন্টু গোয়ালা বলেন, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় সিলেট বিভাগ থেকে আগত বিভিন্ন সময়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি তথ্য, ক্যাম্পাস নেভিগেশন এবং সার্বিক সহযোগিতা করে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সিলেট বিভাগীয় ছাত্র কল্যাণ সংস্থা।
সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ এই ৪ জেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত আমাদের এই সংগঠন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সিলেট বিভাগের অসংখ্য ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আমাদের বুথ এর মাধ্যমে সহযোগিতা পেয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভর্তিচ্ছুরা এবং অভিভাবকগণ তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র আমাদের বুথ এ রেখে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন। আমরা অনেকের আবাসনের ব্যবস্হা করেছি, আমাদের ক্যাম্পাসের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের প্রতি ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হাসাদ আহমেদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র একটি একক পরীক্ষা নয়, এটি আমাদের জীবনযাত্রার একটি নতুন দিগন্তের সূচনা। আমরা যারা এই সংস্থার সদস্য, আমরা আমাদের সহযাত্রীদের পাশে থাকতে চাই, যেন তারা পরীক্ষায় ভালো করতে পারে এবং তাদের মানসিক চাপ বা উদ্বেগ দূর করতে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করতে পারি। আমাদের সংস্থা সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে আছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।