• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
শিক্ষা প্রতিদিন শিরোনাম
ঝালকাঠির মসজিদ কমিটির মেয়াদ থাকা অবস্থায় নতুন কমিটি গঠনের অভিযোগ নতুন দলে স্থান স্থান পেলো ঝালকাঠির মশিউর রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলা কমিটি ঘোষণা ঝালকাঠিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাকৃবির আহবায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে হাফেজদের সংবর্ধনা ও দস্তার বন্দী প্রদান কাশিমপুর তিতাস অভিযানের নামে চালাচ্ছে ভেল্কিবাজির খেলা ঝালকাঠিতে ১হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদকসম্রাট আল আমিন আটক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত! ঝালকাঠির চামটা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের চাকুরী অবৈধ ঘোষণাপত্রে যা বলল জাতীয় নাগরিক পার্টি

একটি বাক্সে ইসলামী ভোট চাই, কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে বাধা থাকবে না -অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন, ঝালকাঠি প্রতিবেদক
সর্বশেষ: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, নতুন ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ মানুষের তৈরী আইনে ভুল আছে, যার জন্য বাংলাদেশে শান্তি আসেনি। আল্লাহর কোন ভুল নাই, আল্লাহ প্রদত্ত আইনেও কোন ভুল নাই। তা বাস্তবায়নের জন্য ইসলামী সব ভোট একটি বাক্সে দিতে হবে।

ইসলামী সব ভোট যদি একটি বাক্সে পড়ে তাহলে ইসলামী রাস্ট্র কায়েমে আর কোন বাধা থাকবে না। সকল জুলুম, নির্যাতন, অন্যায় অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই, বাঁচাতে চাই। জুলুম থেকে বাঁচতে সংসদে কুরআনের আলো জ্বালাতে হবে। মানব রচিত বিভিন্ন মতবাদ সংসদে পাশ করে মানুষের ভাগ্যে দুঃখ এনেছিলো। কুরআনের আইনী ইসলামের বাংলা গঠন করে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। ঝালকাঠি জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৫ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় ঝালকাঠির কেন্দ্রীয় ঈদগাহে কর্মী সম্মেলন শুরু হয়ে দুপুরে সোয়া বারোটায় শেষ হয়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা আমীর এডভোকেটর হাফিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, বরিশাল মহানগর আমীর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুদ্দিন বাবর, কেন্দ্রীয় শুরা ও বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা ফখরুদ্দিন আল রাজি, বরিশাল জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আ. জব্বার, মালয়েশিয়া প্রবাসী ড. ফয়জুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও শুরা সদস্য লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, গুম হওয়া কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. ওয়ালিউল্লাহর পিতা মাওলানা মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, আন্দোলনে নিহত নলছিটির রানাপাশা এলাকার শহীদ নাইমের পিতা কামরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের ব্যবসায়ী বিভাগের সহসভাপতি, বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক এজিএস ও ঝালকাঠি -০২( সদর-নলছিটি) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করীম, ঝালকাঠি -০১ (রাজাপুর+কাঠালিয়া) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী, জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য অধ্যাপক ডা. মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন, পিরোজপুর জেলা আমীর অ্যাডভোকেট তোফাজ্জেল হোসেন। জেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট বি. এম. আমিনুল ইসলামেরর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এম. সায়েম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল হাই, নলছিটি উপজেলা আমীর মাওলানা জাকির হোসেন খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে মানুষকে মিথা বলে ধোকা দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলো। বিনামূল্যে সার, ১০টাকা কেজি দরে চালসহ সব পণ্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার ওয়াদা করা হয়েছিলো। ভর্তুকি দিয়েও সারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যার্থ হয়েছে। ১০টাকা দরে প্রতিকেজি চাল খাওয়ানোর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছিলো। তাতে আমরা ভাতের অধিকার তো পাই নি, ভোটের অধিকারও হারিয়েছি। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিলো, আমার ভোট আমি দিবো, তোমারটাও দিয়ে দিবো। এভাবেই ২০১৪সালে বিনা ভোটে ১৫৩ জন প্রহসনের নির্বাচনে বিজয়ী দেখিয়েছিলো। ২০১৮ দিনের ভোট রাতে দিয়েছে।২০২৪ সালে সব নিষিদ্ধ করে বাকশাল অংশগ্রহণ করে

মানুষের ভোটের রুচি নস্ট করেছিলো। ডামি নির্বাচনে নাটক করে সরকার গঠন করেছিলো। এ নির্বাচনে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করলো। ভোট কেন্দ্র থেকে মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছে। নতুন ভোটারদেরও ভোটের অধিকার না দিয়ে হতাশ করেছে। গণতন্ত্রকে শুধু হত্যাই না, দাফনও সম্পন্ন করেছিলো। গণতন্ত্র জিবীত করতে হবে। পালানোর সময়ে দেশের ইদুরের গর্তও তাদের ভাগ্যে জোটেনি। তারা জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করায় আল্লাহ সৈরাচারকে নিষিদ্ধ করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছেন।

জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে ইদগাহ মাঠ পরিপুর্ণ হয়ে শহরের প্রতিটা অলিগলিসহ কানায় কানায় জনসাধারণে লোকারণ্য ছিলো।
ঝালকাঠির সুগন্ধা সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ এবং বরিশাল সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা ইসলামী ও দেশাত্ববোধক সংগীত পরিবেশন করেন।


এই ধরণের আরও সংবাদ