ঝালকাঠি সদর উপজেলাধীন ভিআইপি রোড নিবাসী মোঃ কাইউম মল্লিকের ১৭ লক্ষ টাকা ও একই উপজেধীন মোঃ মফিজুল ইসলাম সুমনের ৩৩ লক্ষ টাকা বন্ধুত্বের সুরতে ছলনার আশ্রয়ে হাতিয়ে নেবার অভিযোগে বিগত ইং ১৩/০২/২৫ তারিখে ঝালকাঠি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথকভাবে দুটি মামলা যথাক্রমে সি আর ১০২ ও ১০৩ দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত মামলার গম্ভীর্য উপলব্ধি করতে পেরে মামলাটি সরাসরি আমলে গ্রহণ করেন এবং আসামী শামসুল হক সরদার ওরফে সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করেন।
পরবর্তীতে আসামী শামসুল হক সরদার ওরফে সাগর বিগত ইং ০৯/০৪/২৫ তারিখে বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে বসে ধৃত হন এবং পরবর্তী দিন বরিশাল বিজ্ঞ সি এম এম কোর্ট থেকে আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে ১৫ দিনে হাজির হওয়া শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে ১৫ দিনেও আসামী বিজ্ঞ আদালতে হাজির না হয়ে আদালত অবমাননা করেন।
দীর্ঘ দুই মাস পরে গতকাল আসামী শামসুল হক সরদার ওরফে সাগর ঝালকাঠি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করিলে বিজ্ঞ আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করত জেল হাজতে প্রেরণ করিলে আসামি সাগরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়াও আসামী শামসুল হক সরদার ওরফে সাগর বিরুদ্ধে স্বৈরাচার আমলে একাধিক পরিবারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মর্মে জানা যায়।
প্রকাশ থাকে যে, আসামী শামসুল হক সরদার ওরফে সাগর ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন ও আওয়ামী লীগীগের দোসর শেখের হাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সুরুজের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত এই সাগর।