ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) দুইভাগে ভাগ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব রহিমা আক্তার বলেন, ‘পিএসসিকে দুই ভাগে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটি ভাগ হলে দুটি কমিশন হবে। চেয়ারম্যানও দুইজন হবেন। অর্থাৎ ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের নিয়োগ কার্যক্রম পুরোপুরি পৃথকভাবে চলবে।’
কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সভা কিছুক্ষণ আগে শেষ হয়েছে। সভার রেজ্যুলেশন বের হওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, ‘পিএসসিতে নন-ক্যাডারে বিভিন্ন নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য পৃথক পিএসসি গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের আমলে নন-ক্যাডারে সরকারি কর্মচারী নিয়োগে পৃথক পিএসসি গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরে বিগত সরকার একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটি পৃথক পিএসসি গঠনের সুপারিশ করলেও সেটি আলোর মুখ দেখেনি।
প্রসঙ্গত, সংবিধানে সবপর্যায়ের কর্মচারী নিয়োগের দায়িত্ব সরকারি কর্ম কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ১৪০(১)(ক) ধারায় পিএসসির দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদানের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদিগকে মনোনয়নের উদ্দেশ্যে যাচাই ও পরীক্ষা-পরিচালন।’ সংবিধানের ১৩৭ অনুচ্ছেদে কর্মচারী নিয়োগে একাধিক পিএসসি গঠনের সুযোগ রাখা হয়েছে।