সারাদেশে ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রুয়েটের মূল ফটকে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘শাস্তি চাই শাস্তি চাই ধর্ষকের শাস্তি চাই‘, নিরাপদে বাঁচতে চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই‘, ‘কত লক্ষ হবার পরে, ধর্ষক যাবে জাদুঘরে, মা বোনেরা নিরাপদ নাই, প্রশাসনের হস নাই‘, ‘নারী কেন ভয়? ধর্ষক কেন ঘরে‘, ‘আর কত ঘুমাবে, জাগো এবার প্রশাসন‘, লেখা সংবলিত ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেয়।
রুয়েটের এক মেয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ সারাদেশে নারীরা নিরাপদ নয়। ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি, কুড়িগ্রামের রৌমারী থানা পুলিশের এক উপপরিদর্শকের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ আসামি পালিয়েছে, মুন্সীগঞ্জে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, বগুড়ার শাজাহানপুরে নার্সকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে, রংপুরের মিঠাপুকুরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল সংগ্রহ করতে যাওয়া চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।‘
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বলতে চাই জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। কিন্তু জুলাই পরবর্তী সময়ে আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবহেলার কারণে ছিনতাই, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে।
আজ আমরা এই জুলাইয়ের সরকারের প্রতি সম্মান রেখেই কিছু নিম্নোক্ত দাবি পেশ করছি- ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে,‘ ‘ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য প্রদানের প্রক্রিয়া সহজিকরণ এবং ভিকটিমকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সাক্ষ্য আইন সংশোধন করতে হবে‘, ‘ভিকটিমের পরিচয় গোপন রাখতে হবে এবং সাক্ষ্য প্রদানে মানসিক সহায়তা দিতে হবে, ধর্ষণ মামলায় ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য আধুনিক ল্যাব ও প্রশিক্ষিত কর্মী বৃদ্ধি করতে হবে‘, ‘ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।‘