• রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিক্ষা প্রতিদিন শিরোনাম
স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু হচ্ছে ১৫০টি উপজেলায় , বরাদ্দ ২,১৫৪ কোটি টাকা তুলনামূলক সহজ হলো এনটিআরসিএর পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া নলছিটিতে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে ওয়ার্ড সভাপতিকে মারধর, চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ঝালকাঠিতে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা বাবু গ্রেফতার পৌরসভা খেয়াঘাটের ইজাদার শহীদ খলিফা দ্বৈত পেশায়, সদস্য রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের পেশাদার পাটনির প্রত্যয়নে ইজারাদার বড় দুঃসংবাদ বার্সেলোনা শিবিরে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু গুচ্ছের আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ নিয়ে নাহিদের বার্তা যদি না সুগার ড্যাডি থাকে এত টাকা কামানো সম্ভব না, ফারিয়া শাহরিন জরুরি সভা ডেকেছে বিসিবি

রাজাপুর উত্তর শুক্তাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পালিত হয়নি মাতৃভাষা দিবস, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্ষোভ

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,কামরুজ্জামান সুইট / ৬৩ দেখায় সময়:
সর্বশেষ: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,কামরুজ্জামান সুইট

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তর শুক্তাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক মো: জাকির হোসেন খান এ দিন বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছেন। উপজেলার সব বিদ্যালয় দিবসটি নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করলেও ব্যতিক্রম শুধু ছিল ওই বিদ্যালয়। এমনকি জাতীয় পতাকাও অর্ধনমিত রাখা হয়নি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মো: জাকির হোসেন খান গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার কোনো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেনি। তাই মাতৃভাষা দিবসের কোনো অনুষ্ঠানও হয়নি। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষসহ সব শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ। কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নেই।

জাতীয় পতাকা টানানো কিন্তু তা-ও অর্ধনমিত নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়নি। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষক স্যার বৃহস্পতিবার আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি স্কুলে যেতে বারণ করেছেন।

তাই শহীদ দিবস পালন করা হয়নি। নম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন না করলে আমাদের কী করার আছে? তার খামখেয়ালির কারণে মাতৃভাষা দিবস পালন হয়নি। সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরজুদা বেগম বলেন, আমরা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়েগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি সকল জাতীয় দিবস গুলো পালন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবি দিতে বলা আছে। আমি গ্রুপে কোন ছবি পাইনি কিন্তু প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন খান মৌখিকভাবে বলেছেন অনুষ্ঠান করছি। আমি তার কাছে প্রমান চেয়েছি সে প্রমান করতে পারলে ভালো আর যদি প্রমান না করতে পারে তাহলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো: জাকির হোসেন খান বলেন, আমি ছবি তুলি নাই। শিক্ষার্থীদের দিয়ে চিত্রাঙ্কন করিয়েছি সেই কাগজের ছবি আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ্র বলেন, মাতৃভাষা দিবস পালন না করে থাকলে আমি খোজ নিয়ে সত্যতা পেলে ওই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও সংবাদ