• সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

ঢাবি ছাত্রীর ‘আত্মহত্যার’ নেপথ্যে কী, যা জানা যাচ্ছে

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,প্রতিবেদক / ১ দেখায় সময়:
সর্বশেষ: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি ছাত্রীনিবাস থেকে আনিকা মেহেরুন্নেসা সাহি (২৪) নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বুটেক্সের এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার মাকসুদ ভবনের ৮ তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, মরদেহটি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

জানা যায়, আনিকা ঢাবির দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার নতুন হাট গ্রামে। তিনি ফিরোজ হোসেনের মেয়ে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় বুটেক্সের একটা ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে যে ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে আনিকা আত্মহত্যা করেছে। তবে এটি প্রাথমিক ধারণা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে। ওই ছেলে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে।

আনিকার সহপাঠী ঢাবি দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আলি মেহরাজ শাহরিয়ার মিথুন বলেন, ওই ছেলেটা আনিকাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে এমনভাবে ট্রমার মধ্যে রেখেছিল যে, সে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। পরশুদিন আনিকার সঙ্গে দেখা হলে সে বলেছিল, ‘আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমি এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? ও বলল, ‘ও আমাকে ঠিক থাকতে দিচ্ছে না। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে আমার; এরকম অবস্থা।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ওই ছেলে আনিকাকে সবসময় মানসিক চাপে রাখত। ছোট ছোট বিষয় নিয়েও তাকে ট্রমার মধ্যে ফেলত। তার আরও কিছু সমস্যা ছিল। সাধারণ সম্পর্কের মতো বিষয়গুলো তার ক্ষেত্রে আলাদা ছিল। সে আনিকাকে ফাঁদে ফেলে স্বার্থ হাছিলের পরিকল্পনা করেছিল।

নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিরাজ মিস্ত্রি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি প্রেমঘটিত বিষয়ে আত্মহত্যা হতে পারে। মৃত ছাত্রীর বাম হাতে পুরোনো ক্ষতচিহ্ন রয়েছে, এটি সাধারণত প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে হতাশার কারণে হয়ে থাকে। এ ঘটনায় আমরা সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছি এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর সন্দেহবাজন বুটেক্সের এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও সংবাদ