• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
শিক্ষা প্রতিদিন শিরোনাম
ঝালকাঠির মসজিদ কমিটির মেয়াদ থাকা অবস্থায় নতুন কমিটি গঠনের অভিযোগ নতুন দলে স্থান স্থান পেলো ঝালকাঠির মশিউর রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলা কমিটি ঘোষণা ঝালকাঠিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাকৃবির আহবায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে হাফেজদের সংবর্ধনা ও দস্তার বন্দী প্রদান কাশিমপুর তিতাস অভিযানের নামে চালাচ্ছে ভেল্কিবাজির খেলা ঝালকাঠিতে ১হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদকসম্রাট আল আমিন আটক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত! ঝালকাঠির চামটা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের চাকুরী অবৈধ ঘোষণাপত্রে যা বলল জাতীয় নাগরিক পার্টি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার পথে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,প্রতিবেদক
সর্বশেষ: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, উপাচার্য, সহ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় দুটি বাসে করে ৮০ জন শিক্ষার্থী ঢাকায় রওনা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় ও চোখে লাল কাপড় বাঁধা ছিল।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীন। এজন্য দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় যাচ্ছেন। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসে ফিরবেন না।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যসহ কিছু শিক্ষক বলার চেষ্টা করছেন দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য। হামলাকারীরা স্পষ্ট এবং চিহ্নিত। কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রক্তাক্ত কুয়েট প্রদর্শনীতে অস্ত্রধারীদের নাম পরিচয়, ছবি বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুয়েটে ছাত্রদল সমর্থক ও বিএনপির লোকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের মনে হচ্ছে কুয়েট প্রশাসনেরই সমস্যা রয়েছে।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠান শিক্ষার্থীরা। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম সিন্ডিকেট সভায় (জরুরি) ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তা সত্ত্বেও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে রাজনীতি শুরু করতে চাইলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয়। মিছিলে কুয়েট ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ মিছিলে এসে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। সেই প্রেক্ষিতে কুয়েট ছাত্রদল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই হামলায় কুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং চার ঘণ্টা যাবত এই হামলা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদেরকে কোন ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এই মর্মে আমরা সকল শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করি।


এই ধরণের আরও সংবাদ