• সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

বরখাস্ত হচ্ছেন শেকৃবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,প্রতিবেদক / ২ দেখায় সময়:
সর্বশেষ: শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান এবং স্বৈরাচারী সরকারের অনুগতদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা ও আন্দোলন দমনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত হচ্ছেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সাময়িক বরখাস্ত হচ্ছেন তারা হলেন, হুমায়ুন কবির (ডেপুটি রেজিস্ট্রার), মোশাররফ হোসেন (অতিরিক্ত পরিচালক বহিরাঙ্গন), মোস্তফা কামাল রিপন (সাবেক জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক), শহিদুল ইসলাম (ডেপুটি রেজিস্ট্রার), ইব্রাহিম খলিল (ডেপুটি রেজিস্ট্রার), ইলিয়াছুর রহমান ও শামসুল হক সাগর।

বরখাস্ত কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন পলাশ কান্তি, শ্যামল চন্দ্র, জামান সরকার, আরিফুল ইসলাম, আলামিন, রুবেল, লুৎফর রহমান, কামাল, জমিরউদ্দীন, সঞ্জিত সিংহ।

ইতোপূর্বে এর তদন্তে গঠিত কমিটির পর্যবেক্ষণে অভিযুক্তদের দলীয় আনুগত্যের মাধ্যমে প্রশাসনের সহায়তায় আন্দোলন দমন এবং শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার তথ্য উঠে আসে। এছাড়াও, তদন্ত প্রতিবেদনে আরও কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিলো ওই কমিটি।

জানা যায়, তদন্তে ১০০ জন শিক্ষক, ৩০ জন কর্মকর্তা এবং আন্দোলনে সম্পৃক্ত শতাধিক শিক্ষার্থীর তথ্য এবং ২০ জন শিক্ষক, ১৫ জন কর্মকর্তা ও ৩৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরকৃত তথ্যের ভত্তিতে উক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ চূড়ান্ত ভাবে যাচাই করা হয়।

বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন বলেন, ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে ১২ জন শিক্ষক, ৭ কর্মকর্তা ও ১১ জন কর্মচারীকে চাকুরি থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। সিন্ডিকেট থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয় যাদের চূড়ান্ত তদন্তে উক্ত সিদ্ধান্ত স্থায়ীভাবে কার্যকর করা হবে।

উল্লেখ্য, একই সভায় ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত আসে। সেই সাথে সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান এবং কার্যক্রমের তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও সংবাদ