• রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিক্ষা প্রতিদিন শিরোনাম
ঝালকাঠিতে দুই পরিবারের ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎকারী সাগর জেলে বাংলার যোগ্য নেতা নাচনমহল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে কবির মোল্লাকে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা টিকটক নিয়ে দ্বন্দ্ব, এক শিশুর হাতে প্রাণ গেল আরেক শিশুর বরিশালে উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা উদযাপন ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি অনিশ্চিত ৩ হাজার প্রার্থীর ঈদের ছুটিতেও বন্ধ হয়নি ঝালকাঠি জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সেবা: ঝালকাঠিতে অব্যাহত ছিল পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু হচ্ছে ১৫০টি উপজেলায় , বরাদ্দ ২,১৫৪ কোটি টাকা তুলনামূলক সহজ হলো এনটিআরসিএর পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া নলছিটিতে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে ওয়ার্ড সভাপতিকে মারধর, চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ

প্রতিটি জেলায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরতে ডিসিরা চান সুনির্দিষ্ট নির্দেশ

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,প্রতিবেদক / ৬৭ দেখায় সময়:
সর্বশেষ: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে এব্যাপারে ডিসিদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, আজকের সভায় অনেক ডিসিরা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় অনেকে মুক্তিযুদ্ধ না করেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলা প্রশাসকদের মধ্য থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান।

কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বলেছি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল পুনর্গঠন হয়েছে। জামুকার যে আইনটি ছিল, তারা সেটিতে সংশোধনী আনছেন। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার নিরিখে এই সংশোধনী আসছে। এই সংশোধনী আসার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদও পুনর্গঠিত হবে। সংসদ পুনর্গঠিত হলে প্রত্যেক জেলায় জেলায় আমরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করবো। যাদের আমরা শনাক্ত করতে পারবো তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা তাদের পর্যবেক্ষণ আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। সেগুলো আমরা শুনেছি। যেগুলো তাৎক্ষণিক তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার, সেটি তাদের দেওয়া হয়েছে। আর যেসব বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেগুলো আমরা নোট করে নিয়েছি এবং সেগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে। তাদের চাহিদা মতো স্থানীয় পর্যায়ে যে পুর্নবাসন কার্যক্রম, কাবিখা ইত্যাদি বিষয়ে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের বলা হয়েছে। এই বরাদ্দের নিরিখে যে প্রকল্পগুলো গ্রামীণ অবকাঠামোতে গ্রহণ করা হবে, সেগুলো যাতে যথাযথভাবে হয় সেটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বরাদ্দপত্রের ক্ষেত্রে আগের যে কেন্দ্রীয় প্রথা ছিল, সেটি আমরা পরিবর্তন করেছি। এগুলো সম্পর্কে তাদের ধারণা দিয়েছি। যেমন কম্বল আগে কেন্দ্রীয়ভাবে সংগ্রহ করে বিতরণ করা হতো, এখন সেটি মাঠ পর্যায়ে সংগ্রহ করে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। একইভাবে গৃহ নির্মাণের সরঞ্জামগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সংগ্রহ করে চাহিদার নিরিখে বিতরণ করা হবে। কোনোটাই আর কেন্দ্রীয়ভাবে রাখা হয়নি। এই বিষয় সম্পর্কে তাদের (ডিসি) ধারণা দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা যথাযথভাবে বিভিন্ন সামগ্রী কিনে বিলি-বণ্টন করেন। গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো রকমের বৈষম্য যেনো সৃষ্টি না হয়, এগুলো সম্পর্কে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় পর্যায়ে এই বিষয়গুলো খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং আমাদের জানাবেন।

তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাইক্লোন সেন্টারসহ যে স্থাপনাগুলো গ্রামীণ পর্যায়ে আছে, সেগুলোর যাতে যথাযথ ব্যবহার হয় সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে যখন নির্বাচিত নেতারা থাকতেন, এটার দায় তারাই গ্রহণ করতেন। এখন জেলা প্রশাসকদের ধারণা দিয়েছি এবারের সব দায়-দায়িত্ব তাদেরই বহন করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা মনে করছি, তাদের (ডিসি) ভেতরেও একটি মানসিকতার পরিবর্তন এসেছে। সেই নিরিখেই আমরা মনে করি, এ কাজগুলো এবার অনেক বেশি স্বচ্ছতার সঙ্গে তারা নেবেন। কারণ তাদের আড়াল করার মতো আর কোনো বিষয় থাকবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও সংবাদ