• সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

প্রায় এক পক্ষ দিন অবস্থান কর্মসূচিতে বাতিল হওয়া নিয়োগপ্রত্যাশীরা

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,প্রতিবেদক / ০ দেখায় সময়:
সর্বশেষ: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগপ্রত্যাশীরা টানা ১২ দিন ধরে ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

এদিকে, রোববার দুপুরে শতাধিক আন্দোলনকারী জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে মহাসমাবেশ করেন। পরে পদযাত্রা করে হাজারের বেশি মানুষ হাইকোর্ট মাজারের সামনে যান। সেখানে সচিবালয়মুখী রাস্তায় তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। তখন আন্দোলনকারীরা ওই রাস্তায় অবস্থান নেন। পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে তদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে সেখানে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করা হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা যে যার মতো দৌড়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।

তারা বলছেন, তাদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে। গত বৃহস্পতিবারও তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করার পাশাপাশি পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাদের ওপর জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করেছিল। ওই দিন পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটাও করে।

আন্দোলনকারীদের একজন ফাতেমা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্তদের ওপর চরম অন্যায় করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা এখন চাকরি করছেন অথচ একই প্রক্রিয়ায় সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এক নিয়োগে দুই নীতি এটা মেনে নেওয়া হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়া হবে না।

জানা যায়, তিন ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।

নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন রিট করলে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও সংবাদ