• রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিক্ষা প্রতিদিন শিরোনাম
স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু হচ্ছে ১৫০টি উপজেলায় , বরাদ্দ ২,১৫৪ কোটি টাকা তুলনামূলক সহজ হলো এনটিআরসিএর পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া নলছিটিতে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে ওয়ার্ড সভাপতিকে মারধর, চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ঝালকাঠিতে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা বাবু গ্রেফতার পৌরসভা খেয়াঘাটের ইজাদার শহীদ খলিফা দ্বৈত পেশায়, সদস্য রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের পেশাদার পাটনির প্রত্যয়নে ইজারাদার বড় দুঃসংবাদ বার্সেলোনা শিবিরে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু গুচ্ছের আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ নিয়ে নাহিদের বার্তা যদি না সুগার ড্যাডি থাকে এত টাকা কামানো সম্ভব না, ফারিয়া শাহরিন জরুরি সভা ডেকেছে বিসিবি

শিমুল বাগানে বসন্তের রঙ, ভালোবাসার উচ্ছ্বাসে মেতেছে ফেব্রুয়ারি

দৈনিক শিক্ষাপ্রতিদিন,প্রতিবেদক / ৪৬ দেখায় সময়:
সর্বশেষ: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর তীরে দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগানে লেগেছে বসন্তের রঙ। শীতের জড়তা কাটিয়ে প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সেজেছে। নদীর ওপারে ভারতের মেঘালয় পাহাড়, মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে মায়াবী যাদুকাটা, আর তারই পাশ ঘেঁষে বিস্তীর্ণ শিমুল বাগান, যেখানে গাছের ডালে ডালে ফুটে আছে লাল শিমুল ফুলের সমারোহ।

প্রতি বছর পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিমুল বাগানটি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রকৃতিপ্রেমীরা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকেন রক্তরাঙা ফুলের সৌন্দর্যে। বাতাসে দোল খাওয়া শিমুল ফুলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গাছের ডালে কিচিরমিচির করে পাখিরা, যেন প্রকৃতির বুকে বসন্তের গান গেয়ে ওঠে।

শিমুল বাগানে ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুক্তার হোসেন বলেন, এই বাগানে এলেই মন ভালো হয়ে যায়। লাল শিমুল ফুলের মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।

এক পর্যটক দম্পতি জানালেন, ‘ভালোবাসা দিবসে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চাইলে এর চেয়ে সুন্দর জায়গা আর হয় না। আমরা প্রায় প্রতি বছরই এখানে আসি।’

চট্টগ্রাম থেকে আসা প্রকৃতিপ্রেমী ফারজুল ইসলাম বলেন, ‘এতো বড় শিমুল বাগান আর কোথাও দেখিনি। লাল ফুলের সমারোহে মনটা ভরে গেছে। বসন্তের প্রকৃত রূপ এখানে এসে অনুভব করা যায়।’

২০০২ সালে লাউরেরগড় বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন নিজের প্রায় ২ হাজার ৪০০ শতক জমিতে শখের বসে তিন হাজারেরও বেশি শিমুল গাছ রোপণ করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গাছ আজ সুবিশাল শিমুল বাগানে রূপ নিয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য এক অনন্য আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।

বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রকৃতির এই আনিন্দ্যসুন্দর শোভা উপভোগ করতে আসা অনেকেই ক্যামেরা হাতে স্মৃতি বন্দি করতে ব্যস্ত। পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষকে নিয়ে এসেছেন কেউ কেউ।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আব্দুল হক বলেন, ‘শিমুল বাগানকে কেন্দ্র করে আশপাশে ছোট ছোট ব্যবসা বেড়ে উঠছে। পর্যটকদের আনাগোনায় এখানকার অর্থনীতিতেও পরিবর্তন আসছে।’

শিমুলের এই রক্তিম সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক পাড়ি দিচ্ছেন দুর্গম পথ। কেউ আসছেন ভালোবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, কেউ প্রকৃতির এই অসাধারণ শোভা নিজের চোখে দেখার জন্য। বসন্তের বাতাসে দোল খাওয়া শিমুল ফুলের লাল চাদরে মোড়ানো এই বাগান যেন হৃদয়ের অন্দরমহলে ভালোবাসার রং ছড়িয়ে দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরও সংবাদ