ঝালকাঠিতে জুলাই বিপ্লব এবং স্বৈরাচার পতনের পরে দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ
শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগ দেশব্যাপী প্রযোজনা কেন্দ্রীক কেন্দ্রীয় নাট্য কর্মশালা ও প্রথম
মুনির চৌধুরীর জাতীয় নাট্য উৎসব আয়োজন করেছে।
এরই অংশ হিসেবে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমির নাট্য বিভাগ স্থানীয় নাট্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি মনোজ্ঞ নাটক মঞ্চায়ন করেছে।
সোমবার রাতে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান ও পুলিশ
সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাওছার হোসেনসহ প্রশাসন স্তরের কর্মকর্তা
বিভিন্ন পর্যায়ের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নাটক
“সম্পূর্ণ কাল্পনিক ২.০” মঞ্চায়ন হয়েছে। বিমল বন্দোপাধ্যায়ের রচিত নাটকের নির্দেশনায় ছিলেন
ইভান রিয়াজ। এই নাটকে ঝালকাঠির একদল তরুণ-তরুণী প্রাণবন্ত অভিনয় করে নাটকটি মঞ্চায়ন
করেছেন।
নাটকটি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগ এনে মন্ডলের মৃত্যুদন্ডের আদেশ হয়। কিন্তু সময়মত
ফাঁসি কার্যকর করার জন্য দড়িতে ঝুলানো হয়। কিন্তু আকষ্মিকভাবে সে প্রাণ না হারিয়ে জ্ঞান হারায়।
জ্ঞান ফিরিয়ে এনে পুনরায় ফাঁসিতে ঝুলানোর পরিকল্পনা করতে দেখা যায়। মন্ডলের স্মৃতি নেই অথচ সজ্ঞান
অবস্থায় আসামীর ফাঁসি হবে না।
যাতে সে মৃত্যুর পূর্বে জেনে যেতে পারে কেন তার ফাঁসি হচ্ছে।
তাই মৃত্যুদন্ড কার্যকরের দায়িত্বে জেলারসহ যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা তাদের চাকুরি বাঁচাতে
উঠে পরে লেগে মন্ডলের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নানাভাবে মন্ডলের তার কৃতকর্ম
বোঝাানোর চেষ্টা করতে নিজেরাই দন্ডে পড়ে যায়। এই ঘটনাটি হত্যা ছিল না, দুর্ঘটনা এবং এর জন্য
কারা দায়ী তা খোঁজার চেষ্টা করা হয়। মূলত মন্ডল একজন শ্রমিক। তাই শ্রমিকদের অভাব অনটনকে এই
নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। মূলত বলার চেষ্টা করা হচ্ছে, শ্রমিকদের মত এই ধরনের ব্যক্তিরা বারবার মরে
অন্যদিকে বিত্তশালীরা আরও বিত্তবান হয়।
এ নাটকে ঝালকাঠির সরোয়ার হোসেন তোহা, তাইফা আক্তার, ওয়াসিফ তালুকদার, রিনি রানী মিত্র
পূর্ণতা, গোলাম রাব্বি, তারেক হাসান, অর্পিতা দাস, নুসরাত জাহান সারা, জারিন তাসনিম জুই,
মোঃ জাইমুন ইসলাম জোহান, মাহিয়া, মোঃ আব্দুল্লাহ, জান্নাতুল জুই, কুশল সাহা, ফেরদৌস
হাসান প্রিন্স অভিনয় করে।